ময়মনসিংহ চায়না মোড়ে ব্যাটারি রিসাইকেল কারখানায় ডাকাতি

ময়মনসিংহ চায়না মোড়ে ব্যাটারি রিসাইকেল কারখানায় মঙ্গলবার ৮ ই অক্টোবর আনুমানিক সন্ধ্যা ৬:৩০ মিনিটে ঘন্টাব্যাপী দুর্ধর্ষ ডাকাতি ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
এই সময় ডাকাতরা কারখানায় নিরাপত্তা কর্মী ও কর্মচারীদেরকে মারধর করে অস্ত্র ঠেকিয়ে সকলের হাত-পা বেঁধে রেখে নগদ টাকা ও মোবাইল লুট করে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী কর্মচারীদের মুখ থেকে জানা যায় একদল ডাকাত ট্রাকে করে এসে অস্ত্র ঠেকিয়ে কর্মচারীদের কে জিম্মি করে কারখানার ভিতরে ঢুকে পড়ে, প্রথমে সিসি ক্যামেরার সার্ভার রুমে ঢুকে সকল তথ্য সহ সার্ভার খুলেনিয়ে যায়। ভুক্তভুগীদের তথ্য মতে ক্যাশে থাকা নগদ টাকা কর্মচারীদের হাতে পাওয়া বেতনের টাকা ও সকলের মোবাইল ফোন সহ মোট ২০ লক্ষ টাকামত লোড নিয়ে যায় ডাকাতের দল।
ঘটনা জানাজানির পর কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ শফিক ও তার টিম এসে ফ্যাক্টরির কর্মচারীদেরকে একক জিজ্ঞাসাবাদের পর ঘটনা স্থান পরিদর্শন করে এবং ডাকাতি হওয়ার আলামত জব্দ করেন।
এ ঘটনা কেন্দ্র করে ফ্যাক্টরির মালিক মোঃ মোশারফ হোসেনকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন আমার পিছনে এক শ্রেণির লোক সব সময় আমার এবং আমার ফ্যাক্টরি ক্ষতি করার জন্য উঠে পড়ে লেগে আছে। তিনি আরো বলেন ময়মনসিংহ স্টিল আর্টস সেতুর অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া উঠে আসে এ সকল নিয়ম এখন আমার জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তবে এই ডাকাতি কোন সাধারণ ডাকাতি নয় এটি একটি মাস্টার প্ল্যান পরিকল্পিত ডাকাতি। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানী সেদিন আমি ফ্যাক্টরিতে ছিলাম না, সে সময় আমি নাগরিক আন্দোলনের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেছিলাম এমতাবস্থায় হঠাৎ একটি ফোন কল আসে শুনতে পারি ডাকাতির ঘটনা, সে সময় আমি ওখানে উপস্থিত থাকলে হয়তো আমাকে জানে মেরে ফেলাহতো।
কোতোয়ালি থানার ওসি তিনি বলেন রাতে কোতোয়ালি থানা একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয় ঠিক কিছুক্ষণ পরেই একটি ৯৯৯ এ অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি কল করে জানায় যে এক ব্যাগ ভর্তি মোবাইল ফোন পাওয়া গিয়েছে রাস্তার পাশে। সেখান থেকে পুলিশ গিয়ে মোবাইল ফোন সহ ব্যগ উদ্ধার করে নিয়ে আসে নিশ্চিত হওয়া যায় যে এই ফোনগুলো ডাকাতি হওয়ার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। ওসি বলেন তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।