ক্রান্তিলগ্নে একই লক্ষ্যে ইবি’র শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাগণ

ক্রান্তিলগ্নে একই লক্ষ্যে ইবি’র শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাগণ
ওয়াসিফুর রহমান, ইবি প্রতিনিধি:
কুমিল্লা, ফেনী, চট্টগ্রাম নোয়াখালী সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অর্ধ শতাধিক সামাজিক, সেচ্ছাসেবী সংগঠন ও বিভিন্ন বিভাগ। দলমত নির্বিশেষে কাজ করে যাচ্ছে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টানসহ নানা ধর্মের মানুষ।
টানা বৃষ্টি ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল। এসব অঞ্চলে দুর্গত মানুষের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়েছে দেশের শিক্ষক ও ছাত্র-সমাজ। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একতাবদ্ধ হয়ে বন্যার্তদের জন্য অর্থ, খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা, উদ্ধার কিংবা শ্রম দিয়ে ত্রাণকাজে সহায়তা করছে।
সরজমিনে দেখা যায়, দেশের এমন ক্রান্তিলগ্নে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তা সমিতির সদস্যবৃন্দ, তরুণ লেখক ফোরাম, বুনন, তারুণ্য, নরসিংদী জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতি, বই বিহঙ্গ, পাবনা জেলা কল্যাণ সমিতি, বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া, নোফেল ছাত্র ফোরাম, কাম ফর রোড চাইল্ড, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত সেচ্ছা-সেবক টিম, ল’ এ্যাওয়ারনেস এন্ড এনলাইটেন্ড সোসাইটিসহ ক্যাম্পাদের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।
এছাড়াও বন্যার্তদের সহায়তায় কাজ করে যাচ্ছে যোগাযোগ এবং মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, ল’ এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, ফার্মেসী, অর্থনীতি, মার্কেটিং, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট, বাংলা, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি, বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং সহ ইবির বিভিন্ন বিভাগ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রহমান বলেন, আমরা শিক্ষক সমিতির সকল শিক্ষকের একদিনের বেতন বন্যার্তদের জন্য দান করবো। ব্যাংক কার্যক্রম চালুর প্রথম কার্যদিবসেই আশাকরি আমরা আমাদের অর্থ প্রধান উপদেষ্টা তহবিলে পাঠাতে পারবো।
কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হাসান মুকুট বলেন, আমরা মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমাদের একদিনের বেতনের টাকা বন্যার্ত মানুষের সহায়তার জন্য দিব। আগামী মাসের বেতনের টাকা ছাড় হলেই আমাদের সমিতির ফান্ডে টাকা টা জমা করবো। এরপর ফান্ডের একটা চেক প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল বরাবর জমা দিয়ে আসবো। সবমিলিয়ে আনুমানিক ৭/৮ লক্ষ টাকা হবে। আশাকরি আমাদের সাহায্যটা তাদের উদ্ধারকাজে ও পুনর্বাসনে অবদান রাখবে।
ইবি পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুকান্ত দাস বলেন, জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ইশ্বর। আমরা আমাদের জায়গা থেকে বন্যার্তদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। এখানে বিষয়টি হলো আমরা অর্থ দান করছি না। আমরা আমাদের ভাই বোনদের জন্য সমব্যথী। ওখানে তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।