
মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
স্ত্রীর পরকীয়ার সন্দেহে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় এক ঘরজামাই শাশুড়িকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় পলাতক থাকা ঘাতক জামাই মনির হোসেন (২৫) কে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), ময়মনসিংহ।
শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে কুমিল্লা সদর থানার কোটবাড়ি এলাকায়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশ থেকে মনিরকে আটক করা হয়।
রবিবার রাতে পিবিআই ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মো. রকিবুল আখতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মুক্তাগাছা উপজেলার দুল্লা ইউনিয়নের হরিরামপুর ব্যাপারীপাড়া গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছিলেন মনির। তার স্ত্রী রুমা আক্তার ঢাকায় একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কর্মরত ছিলেন। মে দিবস উপলক্ষে ছুটিতে বাড়িতে আসলে মনির তার স্ত্রীর এক সহকর্মীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক আছে সন্দেহে তাদের মধ্যে তুমুল বাকবিতণ্ডা হয়। এরপর মনির অভিমান করে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়।
কিন্তু সেই রাতেই, অর্থাৎ বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মনির ফের বাড়িতে ফিরে আসে এবং তার ছেলে রোহানকে সঙ্গে নিয়ে যেতে চাইলে ফের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে, তার সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীর উপর আঘাত করে মনির। স্ত্রীকে রক্ষার জন্য শাশুড়ি ফজিলা খাতুন এগিয়ে এলে ছুরিকাঘাত গিয়ে লাগে তার তলপেটে, বাম পাশে। তিনি ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন। এরপর মনির স্ত্রী রুমাকেও এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে আহত মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফজিলা খাতুনকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের মরদেহ বর্তমানে হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
এ ঘটনায় মুক্তাগাছা থানায় মামলা দায়েরের পর তদন্তে নামে পিবিআই ময়মনসিংহ। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার রাতে ঘাতক মনিরকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পিবিআই ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার জনাব মো. রকিবুল আখতার জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মনির হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পরে আদালতে হাজির করলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে সে।