মুক্তাগাছায় সন্তানকে বাঁচাতে গিয়ে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ির মৃত্যু, স্ত্রী গুরুতর আহত
মুক্তাগাছায় সন্তানকে বাঁচাতে গিয়ে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ির মৃত্যু, স্ত্রী গুরুতর আহত

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার হরিরামপুর গ্রামে গভীর রাতে সন্তানকে রক্ষা করতে গিয়ে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তার মেয়ে। নিহত শাশুড়ির নাম ফজিলা খাতুন (৫৫)। তিনি স্থানীয় মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। আহত অবস্থায় মেয়ে রুমা আক্তার বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার (১ মে) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে দুল্লা ইউনিয়নের হরিরামপুর গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত মনির মিয়া (৩০), পেশায় রাজমিস্ত্রি, তিনি একই এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে মনিরের কথা কাটাকাটি হয়। এরপর মনির বাসা থেকে বেরিয়ে যায় এবং কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে তার চার বছর বয়সী ছেলে রোহানকে জোর করে নিয়ে যেতে চান। এ সময় রুমা ও তার মা ফজিলা খাতুন বাধা দিলে মনির ক্ষিপ্ত হয়ে হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন।
মেয়েকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে শাশুড়ি ফজিলাকে ছুরিকাঘাত করা হয়, এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলে পড়ে যান তিনি। স্থানীয়রা মা-মেয়েকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে পৌঁছালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, মনির মাদকাসক্ত এবং তার বিরুদ্ধে মারধর, হুমকি ও আগ্রাসী আচরণের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। কয়েকদিন আগে নিজের মা-কেও ছুরিকাঘাতে আহত করেন তিনি।
মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। আহত অবস্থায় ভুক্তভোগীরা হাসপাতালে থাকায় এখনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে অভিযুক্ত মনিরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
এলাকাবাসী এই নৃশংস ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন।