📰 অসহায় হাজেরার জীবনের গল্প: শেষ বয়সেও মেলে না আশ্রয়, মানবিক সহায়তার আহ্বান

📰 অসহায় হাজেরার জীবনের গল্প: শেষ বয়সেও মেলে না আশ্রয়, মানবিক সহায়তার আহ্বান

মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ):
ডিজিটাল বাংলাদেশের এই আলোকিত যুগেও অন্ধকারে ডুবে আছেন অনেকেই। ঠিক যেমনটি আছেন ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার ৫নং বাঁশাটি ইউনিয়নের চকলাঙ্গুলিয়ার বৃদ্ধা হাজেরা বেগম। নেই স্বামী, নেই সন্তান—কেবল একটি ভাঙাঘর আর এক পালকপুত্রকে আঁকড়ে বেঁচে আছেন জীবনযুদ্ধে।

স্মৃতিতে জমে থাকা সেই আশির দশকে কুপির আলোতে ঘর আলোকিত করলেও, ২০২৫ সালে এসে আজো জ্বলছে না তার ঘরে বিদ্যুতের বাতি। একটি জরাজীর্ণ ঘরে পালকপুত্রের সাথে বসবাস করছেন হাজেরা। ছেলে বড় হলেও কর্মহীন, শিক্ষাবিহীন। সংসারের দুর্দশা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে প্রতিদিনের আহার জোগাড় করতেও হিমশিম খেতে হয় মা হাজেরাকে।

এক কক্ষে দুই প্রাণ—ছেলে চকিতে, মা মাটিতে শোয়। ঘরের এক পাশে অন্য কারো টয়লেটের স্যাঁতসেঁতে দেয়াল; বছরের পর বছর ভিজে থেকে গেছে। নেই চুলা, নেই চাল—চারদিকে শুধু দৈন্য আর দুর্দশা। একেবারে অমানবিক একটি পরিবেশে বেঁচে আছেন এই বৃদ্ধা।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, কাজ করে দিন চলে হাজেরার। একসময় অন্যের বাড়িতে কাজ করে যেভাবে পারতেন খাবার জোগাড় করতেন, এখন বয়সের ভারে তা-ও পারছেন না। অথচ জীবন থেমে থাকেনি—পালকপুত্রকে বিয়ে দিতে চান, চান একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই। এই ছোট্ট স্বপ্ন পূরণে তিনি হাত বাড়িয়েছেন দেশবাসীর দিকে।

মানবতার এই নিদারুণ চিত্র দেখে স্থানীয় সাংবাদিক মোঃ মোশাররফ হোসেন নিজেই সরেজমিন গিয়ে হাজেরার দুর্দশা তুলে ধরেছেন। তিনি জানান, “তাদের কাছে মোবাইল ফোন নেই। কেউ যদি সহযোগিতার হাত বাড়াতে চান, আমি নিজে হাজেরার সাথে দেখা করিয়ে দিব ইনশাআল্লাহ।”

📞 যোগাযোগ:
সাংবাদিক মোঃ মোশাররফ হোসেন
📱 মোবাইল: 01822024008

🧡 আসুন, মানবিকতা জাগুক আমাদের হৃদয়ে। এই বৃদ্ধা হাজেরার পাশে দাঁড়াই। একটু ভালোবাসা, একটু সাহায্য হয়তো ফিরিয়ে দিতে পারে একজন মানুষের বেঁচে থাকার আস্থা।