
মোবাইল কোর্টে ১৪ জনকে সাজা, ডাকাতির চেষ্টাসহ একাধিক মামলার আসামী গ্রেফতার
ময়মনসিংহ, ২২ এপ্রিল ২০২৫:
ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশের টানা অভিযানে একদিনেই ১৭ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধে পূর্বের মামলায় গ্রেফতার করা হয়। অপরাধ দমন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় এই ধরনের অভিযানকে পুলিশ প্রশাসনের একটি সফল উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
থানা সূত্রে জানা যায়, গত ২১ এপ্রিল রাত থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে এই ১৭ জনকে আটক করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এসআই (নিঃ) মাহবুব আলম ফকির ও এসআই (নিঃ) আল আমীন সহ সঙ্গীয় ফোর্স।
মোবাইল কোর্টে ১৪ জনকে সাজা
ময়মনসিংহ জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নেতৃত্বে চরপাড়া এলাকায় পরিচালিত মোবাইল কোর্টে পেনাল কোড ১৮৬০ এর ১৮৬ ধারা (সরকারি কাজে বাধা প্রদান) অনুযায়ী ১৪ জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন:
১। সোবান মিয়া (৩৫)
২। পারভীন (৩৫)
৩। সাদ্দাম হোসেন (২৮)
৪। আনিছ হোসেন রকি (৩৫)
৫। হামিদুল ইসলাম রবিন (৩০)
৬। সাকিব হোসেন আলিফ (২৪)
৭। শাহাদাত হোসেন (৩৫)
৮। সুমন মিয়া (৩৫)
৯। আকাশ (২৫)
১০। বিজয় দাস (৫০)
১১। মোঃ আশরাফুল (২৭)
১২। আলাল উদ্দিন (৬০)
১৩। মন্টু মিয়া (২৬)
১৪। মাসুদ (৪৫)
এই ১৪ জনকে মোবাইল কোর্টে ০২ (দুই) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০০ টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। অনাদায়ে আরও ০৩ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
পূর্বের মামলায় ৩ জন গ্রেফতার
এসআই (নিঃ) মাহবুব আলম ফকির সঙ্গীয় ফোর্সসহ কোতোয়ালী থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পূর্বের বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামীদের গ্রেফতার করেন। তারা হলেন—
-
জন সরকার (৪২),
-
নাজমুল ইসলাম রিয়াদ (২৯),
-
আব্দুল কালাম আজাদ (৪২)।
তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে পূর্বে দায়েরকৃত মামলার ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ডাকাতির চেষ্টার মামলায় ১ জন গ্রেফতার
অন্যদিকে, এসআই (নিঃ) আল আমীন সঙ্গীয় ফোর্সসহ বলাশপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ডাকাতির চেষ্টার মামলায় মোঃ আব্দুল হান্নান (৪০) কে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশের বক্তব্য
ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, “আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান অঙ্গীকার।”