মুক্তাগাছায় গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য ঘৌড়দৌড় অনুষ্ঠিত
মুক্তাগাছায় গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য ঘৌড়দৌড় অনুষ্ঠিত

মীর সবুর আহমেদ
মুক্তাগাছা পৌর শহরের অদূরে বিন্তীর্ণ মাঠে ৫০ হাজারের অধিক মানুষের উপস্থিতিতে আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘৌর দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকালে নন্দীবাড়ী গ্রামে কাজলকোঠা বিল সংলগ্ন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন ময়মনসিংহ দক্ষিন জেলা বিএনপির আহবায়ক মো: জাকির হোসেন বাবলু।
মুক্তাগাছা পৌরসভার ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডবাসীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার পাশাপাশি খুলনা, নড়াইল ,নওগাঁ, জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের অর্ধ শতাধিক প্রতিযোগী (সওয়াড়ি) অংশগ্রহন করে। এ সময় হারিয়ে যাওয়া বাংলার ঐতিহ্য ঘৌড়ার দৌড় দেখতে হাজার হাজার মানুষ ভীড় জমায়। মাঠের পাশেই দোকানীদের সাজানো পশরার মেলায় আরো গাম্ভীর্য হয়ে উঠে গ্রামীণ এ আয়োজনটি।
প্রধান অতিথি আগত দর্শনার্থিদের অভ্যর্থনা জানাতে মাঠের চতুর্দিক প্রদক্ষিণ করেন। প্রতিযোগিতায় কদম দৌড়, দাপট দৌড় ও শেষে চ্যাম্পিয়ণ দৌড় সহ ৫টি দৌড় ইভেন্টে প্রতিয়োগিতা অনুষ্ঠিত হয়। দৌড় শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার হিসেবে ফ্্রীজ, টিভি, বাইসাইকেল, মোবাইল প্রভৃতি বিতরণ করা হয়। প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুক্তাগাছা পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মো. শহীদুল ইসলাম শহীদ।
বিশেষ অতিথি ও অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান খান রতন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুর্শিদুজ্জামান খান সাইফুল, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক কামরুজ্জামান লেবু, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হাফিজুর রহমান খান মঞ্জু, যুগ্ম আহবায়ক মতিউর রহমান খোকন, মো. ইউসুফ আলী, মোখলেছুর রহমান, যুবদলের কাজী রিপন, নূরে হাসানুজ্জামান সোহাগ, ছাত্র নেতা শওকত হোসেন, ঘোড়া দৌড় পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান মাসুদ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাকির হোসেন বাবলু বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার গ্রাম বাংলার ইতিহাস সংস্কৃতি কিংবা খেলাধুলার দিকে নজর দেয়নি। তারা কেবল লুটপাটে ব্যাস্ত ছিলেন। যার কারনে ঘোড়ার দৌড়, হা-ডু-ডু, দাড়িয়াবান্দা সহ নানা খেলা আজ বিলুপ্তির পথে। এসব খেলাধূলাকে ফিরিয়ে আনতে হলে আজকের যুব সমাজকেই মূখ্য ভ’মিকা পালন করতে হবে। তিনি যুব সমাজকে খেলাধূলার পাশাপাশি উন্নত বিশ্বায়ণের লক্ষে পড়ালেখায় মনোনিবেশ হতে আহবান জানায়। এদিকে ঘৌড় দৌড়কে কেন্দ্র করে আশেপাশে বসে গ্রামীণ মেলা। দোকানীরা নানা রকম পশরা সাজিয়ে আরম্বর এক পরিবেশের সৃষ্টি করে।